বন অধিদপ্তরের সাথে ডিরেক্টরস গিল্ডের মত বিনিময়
- Published at: September 4, 2022
প্রিয় নির্মাতা
২৫ আগস্ট ২০২২ দুপুর ১২ টায় বন অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক হয়। বৈঠকে ডিরেক্টরস গিল্ডের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য তুলে ধরা হয়।
১. নাট্যনির্মাতা অনন্য ইমন আর চলচ্চিত্র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের উপর দায়ের করা মামলার দ্রুত সমাধান করা। কোন ধারায় কোটি টাকার মামলা হলো, তা আমাদের অবগত করা।
২. নাটক/ সিনেমায় বন্যপ্রাণী বিষয়ক আইনের যদি কোন ধারা অমান্য করা হয়, তখন সরাসরি মামলা না করে যথাযথ ব্যক্তি/সংগঠনের সাথে আলোচনা করে সুরাহা করা।
৩. নাটক/সিনেমায় গল্পের বিশেষ প্রয়োজনে বন্যপ্রাণী দেখানোর প্রয়োজন হলে, বন অধিদপ্তরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট চালু করা, যেনো নির্মাতা/প্রযোজক বন্যপ্রাণী ব্যবহারে প্রয়োজনীয় সহযোগীতা পেতে পারে।
৪. অতিদ্রুত স্টেক হোল্ডার ( পরিচালক, প্রযোজক, রাইটারদের সাথে করে বন অধিদপ্তরের সাথে একটা গোল টেবিল বৈঠক আয়োজন করা। যেখানে আলোচনা হবে, কি কি দেখানো যাবে, আর কি কি দেখানো যাবে না। যে সব বণ্যপ্রাণী দেখানো যাবে না, তা দেখাতে হলে কি কি করতে হবে। এই আলোচনায় দেশের বিশিষ্ট্য গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবে। গোল টেবিল শেষে প্রেস ব্রিফিং করা।
আমাদের দাবীগুলো মনযোগ দিয়ে শুনে তারা সাধুবাদ জানায় এবং এর উত্তরে তারা বলে:
১. মামলা হয়ে গিয়েছে, এখন এই মামলা কোর্ট ফয়সালা করবে। সেখানে বন অধিদপ্তর তাদের আইনজীবী নিয়োগ করবে না। (কয়েকটা হাজিরা হওয়ার পর এই মামলা সাধারনত শেষ হয়ে যেতে পারে) তবে ২০ কোটি টাকা বিষয়টা হলো, এই টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে না, বা এটা কোন চার্য করবে না। প্রকৃতির ইকো সিস্টেমে এই পরিমান টাকার ক্ষতি হতে পারে। দেশের প্রচলিত আইনে উল্লেখ যা আছে, জজ সাহেব সে বিবেচনায় রায় দিবেন। হতে পারে এক হাজার বা এক লাখ। তারা হাওয়া সিনেমা বন্ধে কোন উদ্যোগ নেয় নাই। এটা তাদের কাজও না। সংগঠন বা ব্যপ্তি পর্যায়ে কেউ করে থাকতে পারে। এই বিষয় বন অধিদপ্তর জড়িত না।
২. এটা ভালো প্রস্তাব বলে সাধুবাদ জানিয়েছে। তারা বলেছে, গল্পে যদি বন্যপ্রাণী বিষয়ে কোন ঘটনা থাকে, তাহলে তা আগে যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করে, তখন পরামর্শ দেওয়া যাবে।
৩. এই সার্ভিস পয়েন্ট নিয়ে কাজ করবে। এটা ভালো প্রস্তাব হিসেবে বিবেচনা করছে।
৪. ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে এই বিষয়ে একটি লিখিত চিঠি চেয়েছে, অতিদ্রুত তারা আমাদের আয়োজনে সাড়া দিবে।
প্রায় দেড় ঘন্টাব্যপি স্বতঃস্ফূর্ত আলোচনায় উপস্থিত ছিল, বন অধিপ্তরের পরিচালক, বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট প্রধান এবং তার টিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আর ডিরেক্টর গিল্ডের প্রতিনিধিবৃন্দ। উল্লেখ্ থাকে যে, ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে যে চিঠি বন অধিদপ্তরে গিয়েছিল, এই বিষয়টি নিয়ে কোন আলোচনা হয় নাই।
ডিরেক্টরস গিল্ড