#আমার_বন্ধু মশিউর …..
- Published at: May 3, 2021
পর্ব : ০০১
#আমার_বন্ধু মশিউর …..
আমার জন্ম ভোলা জেলার মনপুরাতে হলেও বেড়ে উঠা পুরাতন ঢাকাতে! ১৯৯১ তে পুরাতন ঢাকার বিখ্যাত স্কুল নবকুমারে আমার শিক্ষা জীবন শুরু হয়। ছোট বেলা থেকেই আদরে বাঁদর ছিলাম আমি। যতো দূর মনে পরে ক্লাস ফোরে মশিউর ভর্তি হয় আমাদের ক্লাসে। টাঙ্গাইলের ছেলে মশিউর। খুবই চালাক চতুর এবং ভালো স্পোর্টিং প্লেয়ার ছিলো আমার বন্ধু মশা!
আমাদের বন্ধুত্ব হয়ে যায় কিছু দিনের মধ্যেই। আমি, ইব্রাহিম, মনসুর, রাকেশ, দিপক, সাদ, সায়েম সবাই একটা টিম। মশিউর যখন স্কুলের দৌড় প্রতিযোগিতার যেই কোন বিভাগে অংশগ্রহণ করতো আমরা গবেষণা করতাম সেকেন্ড কে হবে, কারন প্রথম তো হবে মশা। ফুটবলার হিসেবে তার ধারে কাছে কেউই ছিলো না!
এখনো মনে আছে নির্মাণ স্কুল লীগে আজিমপুরে শত হুমকির মুখে তার আমাদের গোল পোস্ট থেকে গোল দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য! ক্রিকেটার মশিউর হয় চক্কা নাইলে আউট এই নিতী নিয়ে খেলতো। আমরা দুইজন কতো খেলায় ওপেনার হিসেবে খেলেছি এবং জয় ছিনিয়ে আনছি তা মনে নাই!
আমরা বেড়ে উঠেছি নাজিমুদ্দিন রোডের জেলখানার ঢালে! আমি ইব্রাহিম আর মশিউর মানিক জোর স্কুলে যাওয়া আসা সবই করতাম এক সাথে। স্কুলে কতো মার খেয়েছি আমরা একজন আর একজনের জন্য মনে নাই।
২০০০ সালের দিকে আমি চলে আসি গুলশানের নিকেতনে। স্কুল পরিবর্তন করে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ (স্কুল শাখা) ভর্তি হই! এনালগ যুগেও আমাদের যোগাযোগ হইতো নিয়মিত! আমি সুযোগ পেলেই ছুটে যাইতাম পুরাতন ঢাকার বন্ধুদের কাছে! ২০০৩ এর শেষের দিকে সাদ বা সায়েম কল করে জানালো মশিউর হলি ফ্যামিলির হাসপাতালে ভর্তি! ঠিক তিনদিন পরেই মশিউর কোন এক অজানা কারনে চলে যায় আমাদের ছেড়ে!
একবার ক্লাস পালানোর জন্য স্যার আমাকে ব্যাপক মাইর দিতে শুরু করলেন, হঠাৎ মশিউর বললো স্যার আমি পিকলুরে নিয়ে গেছি! আমাদের ক্লাস টিচার ক্লাসের পুরোটা সময় ওরে কানে ধরাইয়া দাড় করিয়ে রাখলেন ক্লাসে সাথে মাইর ফ্রী!
মশিউর বন্ধু, পৃথিবীতে এখন অতিমারী চলে! হয়তো খুব তাড়াতাড়ি আমরা আড্ডা দিতে চলে আসবো তোর কাছে …..
#আমার_বন্ধু
#আমার_ভাই
#আমার_প্রিয়জন
#করোনাকাল
#পিকলু_চৌধুরী
#COVID19